- ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ কয়টি
- ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কি বলে
- ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের নাম কি
- বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি
- মৌলিক ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি
- অর্ধমাত্রা ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি
- মিশরীয়রা সর্বপ্রথম কয়টি ব্যঞ্জনবর্ণ আবিষ্কার করে
ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে: যেসব বর্ণ উচ্চারিত হওয়ার সময় মুখগহ্বরের কোথাও না-কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হয় তাদের ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও উদাহরণ: বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা মোট ৩৯টি।
ক খ গ ঘ ঙ
চ ছ জ ঝ ঞ
ট ঠ ড ঢ ণ
ত থ দ ধ ন
প ফ ব ভ ম
য র ল
শ ষ স হ
ড় ঢ় য়
ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ কি বলা হয়: ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ফলা। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা ছয়টি।
যেমন-
ণ/ন ফলা – চিহ্ন, কৃষ্ণ
ব-ফলা(ব) – বিশ্ব, সম্বল
ম-ফলা(ম) – আত্মা
য-ফলা (্য) বিদ্যালয়
র-ফলা(্র) – প্রথম, শ্রেণি
{রেফ (র্)} – বর্ণ, কর্ম
ল-ফলা(ল)-উল্লাস।
মনে রাখতে- য,র,ল,ম,ব,ন।
মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি: প, ফ, ব, ভ, থ, দ, ধ, ট, ঠ, ড, ঢ, চ, ছ, জ, ঝ, ক, খ, গ, ঘ, ম, ন, ঙ, স্, শ, হ্, ল, র, ড়, ঢ়।
অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কী কী?: অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ৭ টি । যথা: খ,গ,ণ,থ, ধ, প, শ।
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের নাম কি: ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের নাম হলো অনুবর্ণ।
মিশরীয়রা সর্বপ্রথম কয়টি ব্যঞ্জনবর্ণ আবিষ্কার করে: মিশরীয়রা সর্বপ্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ আবিষ্কার করে।
উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো নিচে দেওয়া হলো-
নাম | বর্ণ | উচ্চারণ স্থান |
কণ্ঠ | ক, খ, গ, ঘ, ঙ | জিহ্বামূল |
তালু | চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, শ, য, য় | অগ্রতালু |
মূর্ধ্য | ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ষ, র, ড়, ঢ় | পশ্চাৎ দন্তমূল |
দন্ত্য | ত, থ, দ, ধ, ন, ল, স | অগ্রদন্তমূল |
ওষ্ঠ্য | প, ফ, ব, ভ, ম | ওষ্ঠ্য |
উচ্চারণীতি অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণিবিভাগ: ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণের ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণকে বলা হয় স্পর্শ বর্ণ/বর্গীয় বর্ণ। স্পর্শধ্বনি বা বর্গীয় ধ্বনিগুলো উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে পাঁচটি বর্গ বা গুচ্ছে বিভক্ত। এ বর্গীয় ধ্বনি আবার দুইভাগে বিভক্ত, যথা: অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ। অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি আবার দুইভাগে বিভক্ত, যথা: অঘোষ ও ঘোষ। উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী স্পর্শ ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোর ধ্বনিতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিম্নরুপ-
উচ্চারণ স্থান | অঘোষ | ঘোষ | |||
অল্পপ্রাণ | মহাপ্রাণ | অল্পপ্রাণ | মহাপ্রাণ | নাসিক্য | |
কণ্ঠ্য | ক | খ | গ | ঘ | ঙ |
তালু | চ | ছ | জ | ঝ | ঞ |
মূর্ধ্য | ট | ঠ | ড | ঢ | ণ |
দন্ত্য | ত | থ | দ | ধ | ন |
ওষ্ঠ্য | প | ফ | ব | ভ | ম |
অঘোষ বর্ণ, ঘোষ বর্ণ, অল্পপ্রাণ বর্ণ, মহাপ্রাণ বর্ণ মনে রাখার কৌশল:
১. অঘোষ বর্ণ: বর্গের ১ ও ২ নং বর্ণ।
২. ঘোষ বর্ণ: বর্গের ৩, ৪ ও ৫ নং বর্ণ।
আবার,
১. অল্পপ্রাণ বর্ণ: বর্গের ১ ও ৩ নং বর্ণ।
২. মহাপ্রাণ বর্ণ: বর্গের ২ ও ৪ নং বর্ণ।
তাড়নজা ধ্বনি | : | ড়, ঢ় |
কম্পনজাত ধ্বনি | : | র |
পার্শ্বিক বর্ণ | : | ল |
অন্তঃস্থ বর্ণ | : | য, র, ল,ব (‘র’ কম্পনজাত ধ্বনি), (‘ল’ পার্শ্বিক ধ্বনি) |
উষ্মবর্ণ | : | শ, স, ষ, হ |
পরাশ্রয়ী বর্ণ | অনুস্বার( ং ). বিসর্গ( ঃ ). চন্দ্রবিন্দু( ঁ ) | |
নাসিক্য ধ্বনি | : | ঙ, ঞ, ণ, ন, ম |
কার | : | স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে বলা হয় সংক্ষিপ্ত স্বর বা ’কার’। বাংলায় ১০টি স্বর এর কার আছে। ১টি স্বর অ এর কার নেই। একে লীন বর্ণও বলা হয়। |
ফলা | : | ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয়-ফলা। ফলা মোট ৬টি। যেমন: (য, ম, ব, ল, র,ন) |