কোনো কোচিংই আপনার পড়া শেষ করে দিবে না, তারা শুধুমাত্র যা যা পড়লে কাজে আসবে অর্থাৎ পরীক্ষায় আসবে তাই শেখানোর চেষ্টা করেন। বিভিন্ন কৌশল শিখিয়ে থাকেন, যা আপনি কোচিং না করলে শিখতে পারবেন না।
ভর্তি কোচিং সেন্টার গুলো পরীক্ষার প্রস্তুতিকে একটি রুটিনে নিয়ে আসে। আর রুটিন মাফিক পড়াশোনা করলে যেকোনো জায়গাতেই সাফল্য লাভ করা সহজ। কোচিং আপনাকে একটি গোছানো প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
অধ্যায় ভিত্তিক অনেক পরীক্ষা নেওয়া হয় কোচিংগুলোতে। বেশি বেশি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে আপনার প্রস্তুতি ঝালাই হয়। নানা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মেশার সুযোগ হয়। আপনি হয়ত আপনার কলেজের সেরা ছাত্র। কিন্তু কোচিং এ এসে দেখবেন আপনার চেয়েও অনেক ভাল ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এতে করে আপনার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দূর হয়ে যাবে।
আপনি তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে আরও ভালো ছাত্র হওয়া সুযোগ পাবেন। উচ্চ মাধ্যমিকে শুধু পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাগুলোই করা হয়। বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি এক নয়। এখানে প্রশ্নের প্যাটার্ন ভিন্ন। উত্তর করার জন্য নানা টিপস রয়েছে।
কোচিংগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস নিয়ে থাকে। তারা পাঠ্যপুস্তক ও এর বহির্ভূত অনেক বিষয় নিয়ে পড়িয়ে থাকে, যা কলেজের ক্লাসে জানা সম্ভব হয় না।
তবে কোচিং করলেই যে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তার নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এটি যে অবশ্যই আপনার সাফল্য লাভের সুযোগ বৃদ্ধি করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং জন্য কোন কোচিং ভর্তি হবেন?
উদ্ভাস কোচিং সেন্টার, ওমেকা কোচিং সেন্টার, রেটিনা কোচিং সেন্টার, ম্যাক কোচিংয়ের মধ্যে যে কোনো একটিতে ভর্তি হতে পারেন। তবে উদ্ভাস থেকে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পেয়ে থাকে বেশি।