- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি
- শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ও মৃত্যু কত সালে
- শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ও পরিবার
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কতজন স্ত্রী ও সন্তান
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাজীবন
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসগুলো কি কি
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটকগুলো কি কি
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্পগুলো কি কি
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধগুলো কি কি
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। তিনি একজন ব্রিটিশ ভারতীয়। তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে রয়েছে শ্রীকান্ত, দেবদাস। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷ এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ‘ডিলিট’ উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।
শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ও মৃত্যু: শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে মারা যান তিনি। শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি অপরাজেয় কথাশিল্পী’ নামে খ্যাত। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হচ্ছে অনিলা দেবী। শরৎচন্দ্রের ডাকনাম ছিল ন্যাঁড়া।
জন্ম ও পরিবার: শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩১শে ভাদ্র, ১২৮৩ (১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি বিভাগের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃপুরুষের নিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচড়াপাড়ার নিকট মামুদপুরে৷ দেবানন্দপুর ছিল প্রকৃতপক্ষে তার পিতার মাতুলালয়। তার পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতার নাম ভুবনমোহিনী দেবী। তার মাতা উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হালিশহরের রামধন গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র কেদারনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। গঙ্গোপাধ্যায়রা কালক্রমে ভাগলপুর নিবাসী হন। পাঁচ ভাই আর বোনের মধ্যে শরৎ চন্দ্র ছিলেন দ্বিতীয়। তার দিদি অনিলা দেবী ছাড়াও প্রভাসচন্দ্র ও প্রকাশচন্দ্র নামে তার দুই ভাই ও সুশীলা দেবী নামে তার এক বোন ছিল। দারিদ্র্যের কারণে মতিলাল স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাগলপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন বলে শরৎ চন্দ্রের শৈশবের অধিকাংশ সময় এই শহরেই কেটেছিল।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কতজন স্ত্রী ও সন্তান: শরৎচন্দ্র বার্মা রেলের হিসাব পরীক্ষক হিসেবে পচাত্তর টাকা মাইনের কেরেনিগিরির চাকরি লাভ করেন ১৯০৫ সালে। রেঙ্গুনের উপকণ্ঠে বোটাটং পোজনডং অঞ্চলে কলকারখানার মিস্ত্রিদের পল্লিতে বসবাস করতেন। তার বাসার নিচে শান্তি দেবী নামে এক ব্রাহ্মণ মিস্ত্রির কন্যা বসবাস করতেন। তার পিতা তার সঙ্গে এক মদ্যপের বিয়ের ঠিক করলে শান্তি দেবী শরৎচন্দ্রকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে অনুরোধ করায় শরৎচন্দ্র তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। তাদের এক পুত্র সন্তানেরও জন্ম হয়, কিন্তু রেঙ্গুনের প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শান্তি দেবী ও তার এক বছরের সন্তান মৃত্যুবরণ করেন। এর অনেকদিন পরে শরৎচন্দ্র রেঙ্গুনে কৃষ্ণদাস অধিকারী নামে এক ভাগ্যান্বেষী ব্যক্তির অনুরোধে তার ১৪ বছরের মেয়েকে মোক্ষদাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি মোক্ষদার নাম রাখেন হিরন্ময়ী দেবী। তারা নিঃসন্তান ছিলেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাজীবন: শরৎচন্দ্রের পাঁচ বছর বয়সকালে মতিলাল তাকে দেবানন্দপুরের প্যারী পণ্ডিতের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন, যেখানে তিনি দু-তিন বছর শিক্ষালাভ করেন। এরপর ভাগলপুর শহরে থাকাকালীন তার মামা তাকে স্থানীয় দুর্গাচরণ বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রবৃত্তিতে ভর্তি করিয়ে দেন। ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র ভাগলপুর জেলা স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মতিলালের ডিহিরির চাকরি চলে গেলে তিনি তার পরিবার নিয়ে দেবানন্দপুরে ফিরে গেলে শরৎচন্দ্র জেলা স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই সময় তিনি হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে দারিদ্র্যের কারণে স্কুলের ফি দিতে না-পারার কারণে তাকে এই বিদ্যালয়ও ত্যাগ করতে হয়। এই সময় তিনি ‘কাশীনাথ’ ও ‘ব্রহ্মদৈত্য’ নামে দুটি গল্প লেখেন। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মতিলাল পুনরায় ভাগলপুর ফিরে গেলে প্রতিবেশী সাহিত্যিক তথা তেজনারায়ণ জুবিলি কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষালাভের প্রতি শরৎচন্দ্রের আগ্রহ লক্ষ করে তাকে তার বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। এই বিদ্যালয় থেকে ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে এনট্রান্স পরীক্ষা পাস করে তেজনারায়ণ জুবিলি কলেজে ভর্তি হন। এই সময় তিনি তার মাতামহের ছোটো ভাই অঘোরনাথের দুই পুত্র সুরেন্দ্রনাথ ও গিরীন্দ্রনাথকে প্রতি রাতে পড়াতেন, তার বিনিময়ে অঘোরনাথ তার কলেজে পড়ার প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতেন। এতৎসত্ত্বেও এফএ পরীক্ষার ফি জোগাড় করতে না-পারার জন্য তিনি পরীক্ষায় বসতে পারেননি।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসগুলো:
- বড়দিদি-প্রকাশিত সময় ১৯১৩
- বিরাজবৌ-প্রকাশিত সময় ১৯১৪
- বিন্দুর ছেলে-প্রকাশিত সময় ১৯১৪
- পরিণীতা-প্রকাশিত সময়-১৯১৪
- পন্ডিতমশাই-প্রকাশিত সময়-১৯১৪
- মেজ দিদি-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- পল্লী-সমাজ-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- চন্দ্রনাথ-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- বৈকুন্ঠের উইল-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- অরক্ষণীয়া-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- শ্রীকান্ত প্রথম পর্ব-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
- নিষ্কৃতি-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
- দেবদাস-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
- চরিত্রহীন-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
কাশীনাথ-প্রকাশিত সময়-১৯১৭ - দত্ত-প্রকাশিত সময়-১৯১৮
- স্বামী-প্রকাশিত সময়-১৯১৮
- শ্রীকান্ত-দ্বিতীয় পর্ব-প্রকাশিত সময়-১৯১৮
- ছবি-প্রকাশিত সময়-১৯২০
- গৃহদাহ-প্রকাশিত সময়-১৯২০
- বামুনের মেয়ে-প্রকাশিত সময়-১৯২০
- দেনা পাওনা-প্রকাশিত সময়-১৯২৩
- নব-বিধান-প্রকাশিত সময়-১৯২৪
- পথের দাবী-প্রকাশিত সময়-১৯২৬
- শ্রীকান্ত-তৃতীয় পর্ব-প্রকাশিত সময়-১৯২৭
- শেষ প্রশ্ন-প্রকাশিত সময়-১৯৩১
- শ্রীকান্ত-চতুর্থ পর্ব-প্রকাশিত সময়-১৯৩৩
- বিপ্রদাস-প্রকাশিত সময়-১৯৩৫
- শুভদা-প্রকাশিত সময়-১৯৩৮
- শেষের পরিচয়-প্রকাশিত সময়-১৯৩৯
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটকগুলো
- ষোড়শী-প্রকাশিত সময়-১৯২৮
- রমা-প্রকাশিত সময়-১৯২৮
- বিরাজ বউ-প্রকাশিত সময়-১৯৩৪
- বিজয়া-প্রকাশিত সময়-১৯৩৫
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্পগুলো
- রামের সুমতি-প্রকাশিত সময়-১৯১৪
- পরিণীতা-প্রকাশিত সময়-১৯১৪
- বিন্দুর ছেলে-প্রকাশিত সময়-১৯১৪
- পথ-নির্দেশ-প্রকাশিত সময়-১৯১৪
- মেজদিদি-প্রকাশিত সময়-১৯১৫
- আঁধারে আলো-প্রকাশিত সময়-১৯১৫
- দর্পচূর্ণ-প্রকাশিত সময়-১৯১৫
- বৈকুণ্ঠের উইল-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- অরক্ষণীয়া-প্রকাশিত সময়-১৯১৬
- নিষ্কৃতি-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
- কাশীনাথ-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
- স্বামী-প্রকাশিত সময়-১৯১৭
- বিলাসী-প্রকাশিত সময়-১৯২০
- মামলার ফল-প্রকাশিত সময়-১৯২০
- রিলক্ষ্মী-প্রকাশিত সময়-১৯২৬
- মহেশ-প্রকাশিত সময়-১৯২৬
- অভাগীর স্বর্গ-প্রকাশিত সময়-১৯২৬
- অনুরাধা-প্রকাশিত সময়-১৯৩৪
- সতী-প্রকাশিত সময়-১৯৩৪
- পরেশ-প্রকাশিত সময়-১৯৩৪
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধগুলো
- নারীর মূল্য-প্রকাশিত সময়-১৯২৪
- তরুণের বিদ্রোহ-প্রকাশিত সময়-১৯১৯
- স্বদেশ ও সাহিত্য-প্রকাশিত সময়-১৯৩২
- স্বরাজ সাধনায় নারী
- শিক্ষার বিরোধ
- স্মৃতিকথা
- অভিনন্দন
- ভবিষ্যৎ বঙ্গ-সাহিত্য
- গুরু-শিষ্য সংবাদ
- সাহিত্য ও নীতি
- সাহিত্যে আর্ট ও দুর্নীতি
- ভারতীয় উচ্চ সঙ্গীত
Photo by: dailyasianage