সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা
- সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার মৌলিক পার্থক্য সর্বনাম ও ক্রিয়াপদে।
- সাধু ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বাহুল্য থাকে অন্যদিকে চলিত ভাষায় তদ্ভব, দেশি-বিদেশি শব্দের বাহুল্য থাকে।
- বক্ত্ব, সংলাপ ও নাটাকের সংলাপের জন্য উপযোগী চলিত ভাষা। সাধুভাষা বক্তৃতা, সংলাপ ও নাটকের অনুপযোগী।
- চলিত ভাষা প্রবর্তনের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে প্রথম চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকা ’সবুজত্র’ (১৯১৪ সালে)
ব্যাকরণ
- সর্বপ্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন-পাণিনি।
- ব্যাকরণ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
- ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়টি-৪টি।
- ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো-ধ্বনিতত্ব, শব্দতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব ও শব্দার্থতত্ত্ব।
- উচ্চতর ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়-৬টি।
- উচ্চতর ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো-ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রুপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, শব্দার্থতত্ত্ব বা বাগর্থ বিজ্ঞান, ছন্দ ও অলঙ্কার তত্ত্ব, অভিধান তত্ত্ব।
- ধ্বনিতত্ত্ব: ধ্বনিতত্ত্ব অংশে ধ্বনি, ধ্বনির উচ্চারণ, উচ্চারণসূত্র, ধ্বনির বিন্যাস, ধ্বনির পরিবর্তন, বর্ণ, সন্ধি, ষ-ত্ব বিধান, ণ-ত্ব বিধান প্রভৃতি ধ্বনি-সম্বন্ধীয় ব্যাকরণের বিষয়গুলো আলোচিত হয়।
- শব্দ বা রুপতত্ত্ব: শব্দ, শব্দের প্রকার, সংখ্যাবাচক শব্দ, পুরুষ শব্দ গঠন, উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি,লিঙ্গ, বচন, ধাতু, শব্দরুপ, কারক, সমাস, পদ-প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ভাব, বাংলা অনুজ্ঞা, শব্দের ব্যুৎপত্তি ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা শব্দ বা রুপতত্ত্বে থাক।
- বাক্যতত্ত্ব বা পদত্রম: বাক্য, বাক্যের অংশ, বাক্যের প্রকার, বাক্য-বিশ্লেষণ, বাক্য পরিবর্তন, পদক্রম, বাগধারা, বাক্য-সংকোচন, বাক্য সংযোজক, বাক্য বিয়োজন, যতিচ্ছেদ বা বিরামচিহ্ন প্রভৃতি বিষয় বাক্য-প্রকরণের আলোচিত হয়।
- অর্থতত্ত্ব: শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার, অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ: যেমন: মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থক শব্দ, সমার্থক শব্দ ইত্যাদি অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।