আরবি: قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ
উচ্চারণ: কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ।
অর্থ: বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
আরবি: ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ
উচ্চারণ: আল্লা-হুসসামাদ।
অর্থ: আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
আরবি: لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
উচ্চারণ: লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ।
অর্থ: তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
আরবি: وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢ
উচ্চারণ: ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ: এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
সূরা ইখলাস-এর ফজিলত:
সূরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
ব্যাখ্যা: নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বের হয়ে সাফা পাহাড়ে গিয়ে উঠলেন এবং “ইয়া সাবাহাহ’ (সকাল বেলার বিপদ, সাবধান) বলে চিৎকার করে ডাকলেন। সবাই সচকিত হয়ে বলে উঠলো, এভাবে কে ডাকছে? তারপর সবাই তার পাশে গিয়ে সমবেত হলো তিনি বললেনঃ আচ্ছা, আমি যদি এখন তোমাদেরকে বলি যে, এ পাহাড়ের অপর দিক থেকে একটি অশ্বারোহী সৈন্যবাহিনী আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, তাহলে কি তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে? সমবেত সবাই বললো, আপনার ব্যাপারে আমাদের মিথ্যার অভিজ্ঞতা নাই। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে একটি কঠিন আযাব সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছি। একথা শুনে আবূ লাহাব বললো, তোমার অকল্যাণ হোক। তুমি কি এ জন্যই আমাদেরকে সমবেত করেছো? এরপর সে সেখান থেকে চলে গেল। তখন নাযিল হলো- “ভাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাব” “আব্বু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক।” (বুখারী, হাদীস নং ৪৯৭১)