সূরা কাফিরুন এর বাংলা উচ্চারণ-অর্থ-ফজিলত-ব্যাখ্যা-Surah Kafirun Bangla

সূরা কাফিরুন এর বাংলা উচ্চারণ-অর্থ-ফজিলত-ব্যাখ্যা-Surah Kafirun Bangla
0
SHARES
1.9k
VIEWS

আরবি: قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلْكَٰفِرُونَ
উচ্চারণ: কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
অর্থ: বলুন, হে কাফেরকূল

আরবি: لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
উচ্চারণ: লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
অর্থ: আমি এবাদত করি না, তোমরা যার এবাদত কর।

আরবি: وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ
উচ্চারণ: ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ
অর্থ: এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।

আরবি: وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
উচ্চারণ: ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম,
অর্থ: এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।

আরবি: وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ
উচ্চারণ: ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
অর্থ: তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।

আরবি: لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ
উচ্চারণ: লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
অর্থ: তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

সূরা আল কাফিরুন পাঠের ফজিলত:

সূরা আল কাফিরুন পাঠে বিশেষ ফজিলত রয়েছে। কাবা ঘর তাওয়াফের সময় এই সূরা পাঠে ফজিলত রয়েছে। জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরা কাফিরুন এবং সূরা ইখলাছ কাবা ঘরের তওয়াফ শেষের দু’রাকাআতে পাঠ করতেন। (মুসলিম)

ঘুমানোর পূর্বে সূরা কাফিরুন পাঠে রাসূল সালাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন। নবীজি বলেন, ‘যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন পাঠ করবে ‘ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফেরূন’- শেষ পর্যন্ত তা পাঠ করবে। কেননা উহার মধ্যে শির্ক থেকে মুক্ত হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।’ (তবরাণী শরীফ)

ফজর এবং মাগরিবের সালাতের সঙ্গে এই সূরা আদায় করাতে সাওয়াব রয়েছে। ফজরের দুই রাকায়াত সুন্নাতের প্রথম রাকায়াতে সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা ইখলাছ পড়াতে ফজিলত রয়েছে। একইভাবে মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজেও এই সূরা পড়ার ফজিলত রয়েছে।

হাদিস শরীফে এসেছে হজরত ইবনু ওমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পূর্বের দু’রাকাআতে এবং মাগরিবের পরের দু’রাকাআতে বিশের অধিকবার বা দশের অধিকবার পাঠ করেছেন- ‘ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফেরূন’ এবং ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ।’ (আহমাদ)

ব্যাখ্যা:
১। আনাস ইবনে মালিক (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মিরাজ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমি এমন একটি নদীর ধারে পৌঁছলাম। যার উভয় তীরে ফাঁপা মোতির তৈরি পাতা আছে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল এটি কি? উত্তরে জিবরাঈল বললেন, এটিই হলো হাউজে কাওসার। (বুখারী, হাদীস নং ৪৯৬৪)

২। আনাস (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মো’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট, তার পিতা, তার সন্তান এবং সমস্ত মানুষের চেয়েও প্রিয়তর না হবো। (বুখারী, হাদীস নং ১৫)

Related Posts

No Content Available
x

Add New Playlist

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?