আরবি: قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلْفَلَقِ
উচ্চারণ: কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক
অর্থ:১. বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
আরবি: مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ: মিন শাররি মা-খালাক।
অর্থ:২. তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
আরবি: وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
উচ্চারণ: ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব।
অর্থ:৩. অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
আরবি: وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِى ٱلْعُقَدِ
উচ্চারণ: ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ।
অর্থ: ৪. গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
আরবি: وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
উচ্চারণ: ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
অর্থ:৫. এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
ফালাক এর ফজিলত: হাদিসে বর্ণিত, সূরা ফালাক সূরাটি মহান আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয় এবং অধিক গ্রহণযোগ্য। ফালাক সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাটি অধিক পরিমাণে পড়ার কথা হাদিসে বলা হয়েছে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন, যখই তোমরা নিদ্রা যাও এবং যখই নিদ্রা থেকে উঠ এ সূরাটি তোমরা সর্বাদা পড়বে।
হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাঃ) জ্বিন ও মানুষের বদ নজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। যখন আল ফালাক তাঁর উপর নাযিল হয় তখন তিনি এ সূরাই অবলম্বন করলেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করা বন্ধ করে দেন।
অন্য এক হাদিসে আছে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমরা সূরা ফালাক পড়তে থাক। কেননা, আল্লাহ্র নিকট এর চেয়ে অধিক প্রিয় এবং অধিক দ্রুত গ্রহণযোগ্য আর কোন সূরা তোমরা পড়তে পারবে না। সুতরাং যথাসম্ভব তোমরা এ সূরা পড়া ছেড়ে দিও না।
নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, তোমরা কি এ অতি বিস্ময়কর আয়াতগুলো দেখ নাই যা আজ রাতেই অবতীর্ণ হয়েছে? তোমরা কখনও এ আয়াতগুলোর চেয়ে উত্তম আয়াত পাবে না। সেগুলো হলো সূরা ফালাকের আয়াতসমূহ।
ব্যাখ্যা: ১. মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) [তাকে] বললেন হে মু’আয, তুমি কি জানো বান্দার কাছে আল্লাহ্র কি হক আছে? মু’আয বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বান্দার কাছে আল্লাহ্র হক হলো) সে তার ইবাদত বা দাসত্ব করবে এবং তার সাথে অন্য কিছুকে অংশীদার বানাবে না। তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] আবার বললেন, তুমি কি জানো আল্লাহর কাছে বান্দার হক কি? মু’আয ইবনে জাবাল বললেন, বিষয়টি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্র কাছে বান্দার হক হলো আল্লাহ্ কর্তৃক বান্দাকে আযাব না দেয়া। (বুখারী, হাদীস নং ৭৩৭৩, ৭৩৭৪, ৭৩৭৫)