স্বরবর্ণ-স্বরবর্ণ কয়টি ও কি কি-হ্রস্বস্বর-দীর্ঘস্বর-মৌলিকস্বর

স্বরবর্ণ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: বিভিন্ন পরীক্ষায় আসতে পারে

বাংলা স্বরবর্ণ হচ্ছে বাংলা ভাষার এমন কিছু লিখিতরূপ যারা ব্যঞ্জনবর্ণের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে । বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণের সংখ্যা মোট ১১টি। নিচে স্বরবর্ণ এর বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হলো-

  • উচ্চারণের সময় অনুযায়ী স্বরবর্ণগুলো প্রধানত দুই প্রকার। যথা: হ্রস্বস্বর ও দীর্ঘস্বর।

হ্রস্বস্বর: যে স্বর উচ্চারণে কম সময় প্রয়োজন হয় তাকে হ্রস্বস্বর বলে। হ্রস্বস্বর চারটি। যথা: অ, ই, উ, ঋ।

দীর্ঘস্বর: যে স্বর উচ্চারণে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় তাকে দীর্ঘস্বর বলে। দীর্ঘস্বর সাতটি। যথা: আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ।

  • উচ্চারণের অনুযায়ী স্বরধ্বনিগুলো আবার দুই প্রকার। যথা: মৌলিকস্বর, যৌগিকস্বর বা দ্বিস্বর বা যুগ্মস্বর।

মৌলিকস্বর: যে স্বর ছাড়া কোনো শব্দই উচ্চারণ করা যায় না। তাকে মৌলিক স্বর বলে। মৌলিক স্বর সাতটি। যথা: অ, আ, ই, উ, এ, ও, এ্যা/অ্যা।

যৌগিকস্বর বা দ্বিস্বর বা যুগ্মস্বর: দুইটি মৌলিক স্বরের সমন্বয়ে যে স্বর উচ্চারিত হয় তাকে যৌগিকস্বর বা দ্বিস্বর বা যুগ্মস্বর বলে।

  • যৌগিকস্বরবর্ণ দুইটির। যথা: ঐ (অ+ই/ও+ই=ঐ), ঔ (অ+উ/ও+উ=ঔ)
  • যৌগিক স্বরধ্বনি ২৫টি। যেমন: আউ, এই, ইউ ইত্যাদি)
  • ‌‌ঋ-কে আসলে বাংলায় স্বরধ্বনি বলা চলে না। সংস্কৃত প্রয়োগ অনুযায়ী ঋ বাংলায় স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • অ-কে লীন ধ্বনি বলা হয়। প্রত্যেকটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে অ লীন ধ্বনি হিসেবে মিশে থাকে।
  • স্বরবর্ণগুলো যখন পূর্ণরুপে/স্বাধীন রুপে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে প্রাথমিক রুপ বলে।
  • স্বরবর্ণের প্রাথমিক রুপ আছে ১১টি।

Facebook
Twitter
LinkedIn

Related Posts

ধ্বনি ও বর্ণ এর বিষয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

কোনো ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে যে উপাদান সমূহ পাওয়া যায় সেগুলোকে পৃথকভাবে ধ্বনি বলে। ধ্বনির লিখিত রূপকে বলা হয়...

Read more

Welcome Back!

Login to your account below

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

x

Add New Playlist

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?