১৪৪৬ হিজরির রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সময়সূচি অনুযায়ী, ২ মার্চ প্রথম রমজানে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় ভোররাত ৫টা ৪ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ২ মিনিট। তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ৯ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সেহরি ও ইফতার করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে। দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দীনি দাওয়াত বিভাগের কর্মকর্তারা।
তারিখ | ফজর | যোহর | আছর | মাগরিব | ইশা | সেহরি | ইফতার |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১-০২-২০২৫ | ০৫:২১ | ১২:১৩ | ০৪:০৯ | ০৫:৪৮ | ০৭:০৩ | ০৫:১৫ | ০৫:৪৮ |
২-০২-২০২৫ | ০৫:২১ | ১২:১৩ | ০৪:১০ | ০৫:৪৯ | ০৭:০৩ | ০৫:১৫ | ০৫:৪৯ |
৩-০২-২০২৫ | ০৫:২০ | ১২:১৩ | ০৪:১০ | ০৫:৪৯ | ০৭:০৪ | ০৫:১৪ | ০৫:৪৯ |
৪-০২-২০২৫ | ০৫:২০ | ১২:১৩ | ০৪:১১ | ০৫:৫০ | ০৭:০৫ | ০৫:১৪ | ০৫:৫০ |
৫-০২-২০২৫ | ০৫:২০ | ১২:১৩ | ০৪:১২ | ০৫:৫১ | ০৭:০৫ | ০৫:১৪ | ০৫:৫১ |
৬-০২-২০২৫ | ০৫:১৯ | ১২:১৩ | ০৪:১২ | ০৫:৫১ | ০৭:০৬ | ০৫:১৩ | ০৫:৫১ |
৭-০২-২০২৫ | ০৫:১৯ | ১২:১৩ | ০৪:১৩ | ০৫:৫২ | ০৭:০৬ | ০৫:১৩ | ০৫:৫২ |
৮-০২-২০২৫ | ০৫:১৯ | ১২:১৩ | ০৪:১৪ | ০৫:৫৩ | ০৭:০৭ | ০৫:১৩ | ০৫:৫৩ |
৯-০২-২০২৫ | ০৫:১৮ | ১২:১৩ | ০৪:১৪ | ০৫:৫৪ | ০৭:০৭ | ০৫:১২ | ০৫:৫৪ |
১০-০২-২০২৫ | ০৫:১৮ | ১২:১৩ | ০৪:১৫ | ০৫:৫৪ | ০৭:০৮ | ০৫:১২ | ০৫:৫৪ |
১১-০২-২০২৫ | ০৫:১৭ | ১২:১৩ | ০৪:১৫ | ০৫:৫৫ | ০৭:০৮ | ০৫:১১ | ০৫:৫৫ |
১২-০২-২০২৫ | ০৫:১৭ | ১২:১৩ | ০৪:১৬ | ০৫:৫৫ | ০৭:০৯ | ০৫:১১ | ০৫:৫৫ |
১৩-০২-২০২৫ | ০৫:১৬ | ১২:১৩ | ০৪:১৭ | ০৫:৫৬ | ০৭:০৯ | ০৫:১০ | ০৫:৫৬ |
১৪-০২-২০২৫ | ০৫:১৬ | ১২:১৩ | ০৪:১৭ | ০৫:৫৭ | ০৭:১০ | ০৫:১০ | ০৫:৫৭ |
১৫-০২-২০২৫ | ০৫:১৫ | ১২:১৩ | ০৪:১৮ | ০৫:৫৭ | ০৭:১০ | ০৫:০৯ | ০৫:৫৭ |
১৬-০২-২০২৫ | ০৫:১৫ | ১২:১৩ | ০৪:১৮ | ০৫:৫৭ | ০৭:১১ | ০৫:০৯ | ০৫:৫৭ |
১৭-০২-২০২৫ | ০৫:১৪ | ১২:১৩ | ০৪:১৮ | ০৫:৫৮ | ০৭:১১ | ০৫:০৮ | ০৫:৫৮ |
১৮-০২-২০২৫ | ০৫:১৩ | ১২:১৩ | ০৪:১৯ | ০৫:৫৯ | ০৭:১২ | ০৫:০৭ | ০৫:৫৯ |
১৯-০২-২০২৫ | ০৫:১৩ | ১২:১৩ | ০৪:২০ | ০৫:৫৯ | ০৭:১২ | ০৫:০৭ | ০৫:৫৯ |
২০-০২-২০২৫ | ০৫:১২ | ১২:১৩ | ০৪:২০ | ০৬:০০ | ০৭:১৩ | ০৫:০৬ | ০৬:০০ |
২১-০২-২০২৫ | ০৫:১১ | ১২:১৩ | ০৪:২০ | ০৬:০০ | ০৭:১৩ | ০৫:০৫ | ০৬:০০ |
২২-০২-২০২৫ | ০৫:১১ | ১২:১৩ | ০৪:২১ | ০৬:০১ | ০৭:১৪ | ০৫:০৫ | ০৬:০১ |
২৩-০২-২০২৫ | ০৫:১০ | ১২:১৩ | ০৪:২১ | ০৬:০১ | ০৭:১৪ | ০৫:০৪ | ০৬:০১ |
২৪-০২-২০২৫ | ০৫:০৯ | ১২:১২ | ০৪:২২ | ০৬:০২ | ০৭:১৫ | ০৫:০৩ | ০৬:০২ |
২৫-০২-২০২৫ | ০৫:০৮ | ১২:১২ | ০৪:২২ | ০৬:০৩ | ০৭:১৫ | ০৫:০২ | ০৬:০৩ |
২৬-০২-২০২৫ | ০৫:০৭ | ১২:১২ | ০৪:২২ | ০৬:০৩ | ০৭:১৬ | ০৫:০১ | ০৬:০৩ |
২৭-০২-২০২৫ | ০৫:০৭ | ১২:১২ | ০৪:২৩ | ০৬:০৪ | ০৭:১৬ | ০৫:০১ | ০৬:০৪ |
২৮-০২-২০২৫ | ০৫:০৬ | ১২:১২ | ০৪:২৩ | ০৬:০৪ | ০৭:১৬ | ০৫:০০ | ০৬:০৪ |
রোজা রাখার বিধান ও ফজিলত
আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য অন্যতম বিশেষ নেয়ামত হলো রমজান মাস। এ মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর এ মাসে সিয়াম সাধন করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর ফরজ। তবে মুসাফির এবং অসুস্থ (এমন অসুস্থতা যা রোগ-কে আরো তীব্র করে কিংবা জীবন নাসের আশঙ্কা হয়) ব্যক্তির জন্য পরবর্তী কাজা আদায় করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।
নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান। রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।
সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর। (সুরা বাকারা ১৮৩-১৮৫)
রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য অন্যতম শর্ত হলো- মাস উপস্থিত হওয়া। আর রমজান মাসের সূচনার অন্যতম উপায় হলো চাঁদ উদিত হওয়া। রোজা রাখা এবং ঈদ পালন চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমনটাই নির্দেশ করেছে। ইবনু আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা রমজানের পূর্বে রোযা রেখ না। তোমরা রমজানের চাঁদ দেখার পর রোজা রাখা আরম্ভ কর এবং চাঁদ দেখার পর তা ভাঙ্গ। মেঘের কারণে চাঁদ দেখা না গেলে তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। (জামে-তিরমিজি)
পবিত্র এ মাসে বান্দা যেন এখলাসের সাথে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মনোনিবেশ করতে পারেন, এজন্য পাপিষ্ঠ শয়তানকে এ মাসে বন্ধী রাখা হয় এবং বান্দাকে নেক-আমলের প্রতি উৎসাহিত করা হয় আর অপরাধীদেরকে অপরাধ থেকে বারণ করা হয়। এমনকি এ রমজানের উসিলায় এ মাসে অসংখ্য বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেন। এজন্য বান্দার উচিত বেশি বেশি নেক-আমল ও এস্তেগফার করা। যেমনিভাবে হাদিস শরিফে এসেছে,
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান ও অভিশপ্ত জিনদের শৃঙ্খলিত করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ হয় না এবং একজন ঘোষক ডেকে বলেন, হে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি, অগ্রসর হও। হে অসৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি, থেমে যাও। আল্লাহ তায়ালা (রমজানের) প্রতিটি রাতে অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি)
যেসকল আল্লাহভীরু মুত্তাকী ব্যক্তি এ মহান উৎসাহে উদগ্রীব হয়ে রমজানের রোজা রাখবেন এবং গুনাহ মুক্ত থেকে ইবাদতে মশগুল হবেন তাদের জীবনের সকল (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করা হবে। এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমজান মাসের সিয়াম রাখলো, তার পূর্বের গুনাহ সমূহ মাফ করা হলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সাহ্ল ইবনু সা’দ রা. থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ‘রাইয়্যান’ নামে জান্নাতে একটি দরজা আছে। রোযা পালনকারীকে এই দরজা দিয়ে প্রবেশের জন্য ডাকা হবে। যে সব লোক রোজা পালন করবে তারা এই দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। আর তাতে যে লোক প্রবেশ করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না। (জামে-তিরমিজি)
শুধু তাই নয়, এ মাসে এমন একটি বিশেষ রজনি রয়েছে, যে রজনি হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রজনীকে লাইলাতুন কদর বলা হয়।এ রজনীটি রমজানের শেষ দশকের যে কোনো রাত্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। আর এই বিশেষ নেয়ামত যেন ছুটে না যায় এজন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানে ইতিকাফের মাধ্যমে সর্বদা ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং সাহাবিদেরকেও উৎসাহ প্রদান করতেন। অনুরূপভাবে হাদিস শরিফে বর্ণিত রয়েছে।
আবূ হুরায়রাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রতি বছর (রমজানে) একবার কুরআন শরীফ পড়ে শুনানো হত। তাঁর মৃত্যুবরণের বছর কুরআন শুনানো হয়েছিল (দু’বার)। তিনি প্রতি বছর (রমজান মাসে) দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু ইন্তেকালের বছর তিনি ইতিকাফ করেছেন বিশ দিন। (সহিহ বুখারি, মিশকাতুল মাসাবিহ)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কদর রজনীকে রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে অনুসন্ধান করো। ( সহিহ বুখারি)
সুতরাং রমজান আল্লাহ তায়ালার দেয়া এ শ্রেষ্ঠ উপহারকে গনিমত মনে করে দুনিয়াবী সকল ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জনের লক্ষ্যে গুণাহ মুক্ত থেকে সিয়াম সাধনা ও ইবাদতে মশগুল হওয়া প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।