তলপেট ফোলার কারণ: গর্ভাবস্থায় শুরুতেই দেহের প্রজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। তার হাত ধরে পাকস্থলী থেকে খাবার নীচে নামার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এরফলে পেট একটু ভারী থাকে। ‘
এর সঙ্গে প্রথম ১২ সপ্তাহ অম্বল, গলাজ্বালা বাড়ে৷। কোষ্ঠকাঠিন্যও থাকে অনেকের৷ দু-একদিন পেট পরিষ্কার না হলে মেয়েদের পেট ফোলার সমস্যা বেড়ে যায়। এরপর যত সময় যায়, যত পেট বড় হতে থাকে, পাকস্থলীর উপর চাপ তত বেশি পড়ে, সমস্যা বাড়ে তত৷ বেশি খাওয়া ও শুয়ে-বসে থাকার যুগলবন্দীতে তা বাড়াবাড়ি রূপ নেয় কখনও।
এসময় খাবারের পরিমাণ নয়, বাড়াতে হয় পুষ্টির মান৷ দিনের প্রতিটি খাবার পুষ্টিকর হলে কম খাবারেই ভাবী মা শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মাঝেমধ্যে এক-আধ চামচ ঘি বা মাখন খাওয়া যেতেই পারে৷ কিন্তু বেশি খেলে এক দিকে যেমন পেট ফাঁপা বাড়তে পারে, সূচনা হতে পারে ওজন বৃদ্ধির, যা থেকে ডায়াবেটিস ও আরও নানান জটিলতার আশঙ্কা বাড়ে৷ আর ব্যায়াম একেবারেই নিষিদ্ধ নয় এসময়। হালকা ফ্রি হ্যান্ড ও ঘরোয়া কাজকর্ম করলে গ্যাস, অম্বল, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য কম থাকে, ওজন বাড়তে পারে না, গর্ভাবস্থায় যা একান্ত প্রয়োজনীয়৷”
তলপেট ফোলার সমস্যার সমাধান:
- সহজে হজম হয় এমন পুষ্টিকর খাবার খান, পেট একটু খালি রেখে৷ কারণ এসময় পাকস্থলীতে জায়গা কমে যায়৷ পেট বেশি ভরে খেলে আইঢাই করে৷ অম্বল, বদহজম বেশি হয়৷ বার বার খিদে পেলে বার বারই খাবেন, তবে অল্প করে৷
- সবুজ শাক-সব্জি খান পর্যাপ্ত৷ সারা দিন মোটামুটি সচল থাকলে ও হালকা ব্যায়াম করলে গ্যাস হবে না কিন্তু পেট পরিষ্কার থাকবে৷ এই একই কারণে পানি সারাদিনে ৮-১০ গ্লাস খাবেন৷
- কম মিষ্টি ফল খান মাপমতো৷ খুব বেশি ফল খেলে, বিশেষ করে মিষ্টি ফল, ওজন বেড়ে যেতে পারে, যা এ সময় কাম্য নয়৷
- তেল-ঘি-মাখন যত কম তত ভালো৷ মশলাও বুঝেশুনে৷
- ভাত-রুটি-পাস্তা-নুডুল মাপমতো, মাছ, চিকেন, ডিম, ডাল ও অন্যান্য প্রোটিন খান পর্যাপ্ত।
আরও পড়ুন: