প্রশ্ন : জন্মগত চোখের ছানির চিকিৎসা কি ?
উত্তর : সাধারণত: বয়স্কদেরই চোখে ছানি পড়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের নানা প্রকার অসুখে বা কোন ওষুধ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শিশু চোখের ছানি নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে।
যেহেতু ছানি হচ্ছে চোখের লেন্স ঘোলা হয়ে যাওয়া, ছানি পড়লে শিশুর চোখে আলো প্রবেশ করতে পারে না। এতে শিশু চোখে দেখে না এবং তার রেটিনার বিকাশও ঘটে না। সুতরাং জন্মগত ছানি- যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করতে হবে।
ছানির চিকিৎসা হচ্ছে- অপারেশন করে ঐ ঘোলা লেন্সটি অপসারণ করতে হবে। বয়স ২ বছর না হলে কৃত্রিম লেন্স বসানো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ- এজন্য এসব শিশুদেরকে অপারেশন এর পর চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স এর সাহায্যে দেখার ব্যবস্থা করা হয় এবং বড় হলে ৭/৮ বছর বয়সে চোখে দ্বিতীয় বার অপারেশন করে কৃত্রিম লেন্স সংযোজন করা হয়।
প্রশ্ন : চোখের কি কি জন্মগত ত্রুটি হতে পারে ?
উত্তর : চোখের প্রায় প্রতিটি অংশেই জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। কিছু ত্রুটি চিকিৎসার যোগ্য নয় তবে বেশিরভাগ জন্মগত ত্রুটি দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করালে চির অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পূরো চোখ তৈরী না হওয়া (Anophthalmos), ছোট চোখ (Microphthalmos) চোখের পাতা অংশবিশেষ তৈরী না হওয়া, চোখের কর্ণিয়া ছোট বা বড় হওয়া, কোনিকেল বা ফ্লাট কর্ণিয়া, লেন্স ঘোলা হওয়া বা জন্মগত ছানি, আইরিস, করয়েড ও রেটিনার ত্রুটি, জন্মগত গ্লুকোমা ইত্যাদি নানা প্রকার জন্মগত চোখের ত্রুটি হতে পারে। জন্মগত ছানি, গ্লকোমা রোগে দ্রুত শল্য চিকিৎসা করানো হলে দৃষ্টিশক্তি প্রায় ১০০ ভাগ ভালো করা সম্ভব।