মানুষ কেন প্রেমে পড়ে এই প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে অনেকের মনে। নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ থেকে আসে আসক্তি। আসক্তি থেকে আসে পূর্বরাগ। আর পূর্বরাগ হলো প্রেমের প্রস্তুতি। প্রেম হলো কামনা। একে অপরের প্রতি জেগে ওঠা দুর্নিবার বাসনাকে ভালোবাসা বলে। প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিজ্ঞানীদের দেয়া তথ্য অনুসারে, মানুষের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক একটি উপাদানের প্রভাবে নারী ও পুরুষের একে অপরের স্বভাবজাত কামনা তৈরি হয়।
তবে বিজ্ঞানীদের অন্য এক দল মনে করেন, কামনা জাগ্রত হয় সেক্স হরমোন টেসটোসটেরন ও ইসট্রোজেনের মাধ্যমে। আকর্ষণ তৈরি হয় মস্তিষ্কের ডোপামিন ও নোরিপাইন এবং আসক্তি তৈরি হয় অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রোসিনের মাধ্যমে। আজ আপনাদের জানাবো মানুষ কেন প্রেমে পড়ে সেই বিষয়ে। আসুন জানা যাক-
মানুষ প্রেমে পড়ে মূলত মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক কারণগুলোর সমন্বয়ে। প্রেমে পড়ার পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে—
১. জীববৈজ্ঞানিক কারণ
- হরমোনের প্রভাব: প্রেমে পড়ার সময় আমাদের শরীরে অক্সিটোসিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মতো হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আনন্দ ও সংযোগের অনুভূতি তৈরি করে।
- প্রাকৃতিক নির্বাচন: মানব বিবর্তনের ধারায় প্রেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এটি পারস্পরিক আকর্ষণ ও বন্ধন তৈরি করে, যা সন্তান পালনে সহায়ক।
২. মানসিক কারণ
- আবেগ ও সংযোগের প্রয়োজন: মানুষ সামাজিক প্রাণী, তাই একাকীত্ব দূর করতে এবং মানসিকভাবে সমর্থন পেতে প্রেমের আকর্ষণ অনুভব করে।
- সামঞ্জস্য ও মিল: আমাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই এমন কাউকে খোঁজে যার ব্যক্তিত্ব, মূল্যবোধ বা জীবনধারা আমাদের সঙ্গে মেলে।
৩. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণ
সমাজের প্রভাব: পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সিনেমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রেমের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়।
আদর্শিক প্রত্যাশা: অনেকে প্রেমকে জীবনের অপরিহার্য অংশ মনে করে এবং সম্পর্কের মধ্যে মানসিক নিরাপত্তা খোঁজে।