যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসার খরচ-আবেদন ও যোগ্যতা

যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা

পড়াশোনার মান ভালো বলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। ওই দেশে যাওয়ার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে নিয়ম না জানার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা অনেকেই পান না। আজকের আর্টিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা কীভাবে খুব সহজভাবে পাবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা: ইউনিভার্সিটি ও সাবজেক্ট পছন্দ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করতে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি কলেজ বা ইউনিভার্সিটি ও সাবজেক্ট খুঁজে বের করতে হবে যেটা আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী। যুক্তরাষ্ট্রে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন তালিকা নেই। তাই বলা হয় যে, আপনার শিক্ষাগত, আর্থিক এবং ব্যক্তিগত সামর্থ্য ও প্রয়োজনের সাথে যেটি সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেটিই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোর্স খুঁজে বের করার এই কাজটি আপনাকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার এক বছর বা ১৮ মাস আগেই শুরু করতে হবে।

READ ALSO

এক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি কোন স্টেটে (মার্কিন অঙ্গরাজ্যে) থাকতে চান, কোন কলেজ বা ইউনিভার্সিটি আপনার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ, আপনার আর্থিক সহযোগিতা দরকার কি না, ভর্তি ও বৃত্তি আবেদনের শেষ তারিখ কবে ইত্যাদি। ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট দরকার হবে। সেগুলো ইংরেজি ভাষায় হয়ে না থাকলে সেটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে নোটারী করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা: ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা

ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। অ্যাকাডেমিক ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট ও রেকমেনডেশন লেটার দরকার হবে। সেই সঙ্গে আপনার আগ্রহ, লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে একটি রচনা বা ব্যক্তিগত বিবৃতি লিখতে হবে এবং সেগুলো ভিসা আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ ভিন্ন। প্রতিযোগিতা বেশি হলেও এখানে বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আপনার আর্থিক পরিকল্পনা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করুন।

মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও বৃত্তির আবেদন একসঙ্গেই শুরু হয়। ভর্তি ও আর্থিক নিশ্চয়তার পরের ধাপ হচ্ছে ভিসার জন্য আবেদন। তবে ভিসা আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনের জন্য আপনার বিভিন্ন রেকমেনডেশন লেটার, এসে (essay) লেখা এবং বিভিন্ন ধরণের অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পৌঁছানোর বিষয় রয়েছে। তাই এটি সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা: আবেদন করার সময় বিবেচনা করার জন্য কয়েকটি মূল বিষয়

  • আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চেক করুন। ভিজিট করুন uscis.gov এবং আপনার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
  • আপনার পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সরকারি নথির একটি অনুলিপি রয়েছে তা নিশ্চিত করুন।
  • আপনার আবেদনপত্রে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি (যেমন, পাসপোর্ট, চিকিৎসা, যানবাহন নিবন্ধন) সন্ধান করুন।
  • স্টুডেন্ট কার্ডের জন্য আবেদন করার সময়, আপনাকে আপনার ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ চাওয়া হবে।
  • উপরোক্ত ছাড়াও, আপনার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে কলেজের জন্য একটি ছবি জমা দিতে হতে পারে। একবার আপনি ভর্তি হয়ে গেলে, স্কুলে আপনার এবং আপনি যে শিক্ষার্থীর যোগদানের জন্য আবেদন করছেন তার একটি ফটোর প্রয়োজন হবে।
  • স্কুলে আপনার আঙুলের ছাপ নেয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার নিজস্ব কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন থাকতে হবে। যেমন প্রথমত আপনি যদি পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যেতে চান তাহলে আপনাকে বাংলাদেশে থাকাকালীন এসএসসি বা এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট শো করতে হবে। আপনার আইইএলটিএস এর রেজাল্ট ভালো থাকতে হবে, ইংরেজী ভাষায় দক্ষ হতে হবে এগুলো বিষয় ঠিক থাকলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

See also  এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি (তালিকা সহ)

যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ

যেহেতু ভিসা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বা অন্য কোনো দেশে যাওয়া যায় না, সেহেতু কোনো দেশে যেতে হলে ভিসা খরচ কত টাকা পড়বে তা সঠিক ভাবে জানাটা দরকার। আপনি যদি দেশের বাহিরে যেতে চান,তাহলে আগে ঠিক করতে হবে আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন বা কোন কাজের উদ্দ্যেশে যেতে চাচ্ছেন। কারণ একেক দেশে যেতে ভিসা খরচ একেক রকম। আবার কোন কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সেইটাও জরুরি।

কারণ কোন কাজে যেতে চাচ্ছেন তার ওপরেও ভিসা খরচ টা নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত টাকা এই সব বিষয় নিয়েই আজকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা খরচ এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। আপনি যে দেশেই যেতে চান না কেনো, আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা খরচ টা অনেক কম পড়বে। কারণ সব দেশেই স্টুডেন্ট ভিসা খরচ টা অনেক কম লাগে। এই জন্যই অনেক স্টুডেন্ট দেশের বাহিরে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হলে ১৮ হাজার টাকা ফ্রী দিয়ে আপনাকে ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ভিসা হয়ে গেলে প্রায় ৫০ হাজার বা তার বেশি টাকা লাগতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে। যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে পড়াশোনার জন্য অনেক সুযোগ, সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জীবন যাপন অনেক উন্নত মানের। সেখানকার পরিবেশ অনেক ভালো।

যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় কী কী কাজ করা যায়

আনেকের স্বপ্ন থাকে যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পড়াশোনা করতে অনেক খরচ লাগে তাই অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যায় না। বিশেষ করে যাদের আর্থিক সমস্যা থাকে তাদের ইচ্ছে থাকলেও উপায় মেলে না। তবে কেউ যদি অধিক ট্যালেন্ট বা কোনো কাজে অভিন্ন হয়, তাহলে সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে পারবে।

যদিও সেই টাকা দিয়ে পড়াশোনার খরচ চলবে না। তবে যদি আপনার কোনো কাজে অধিক দক্ষতা থেকে থাকে বা আপনার পরিচিত কোনো কোম্পানির মালিক থেকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে যদি বেশি বেতন এর চাকরি দিয়ে থাকে তাহলে কোনো চিন্তা বা সমস্যা হবে না। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রথম এক বছর কোন কাজ বা কোনো ভাবে ঢুকতে পারবেন না দ্বিতীয় বছরে কাজ করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ

যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হলে কত টাকা খরচ লাগতে পারে এইসব তথ্য নিয়ে লেখা হয়েছে আজকের যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসা শুরু ২০২৩ এই আর্টিকেলটি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার খরচ কত টাকা সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে আবার আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার আবেদন করেন,তাহলে ১৩৯৯৯ টাকা লাগবে আর যদি কাজের ভিসার আবেদন করে থাকেন তাহলে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বিমান ভাড়া-

  • বাংলাদেশ থেকে ওয়াশিংটন বিমান ভাড়া ১৬০০ থেকে ১৮০০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে সিয়াটল বিমান ভাড়া ২১০০ থেকে ২২৫০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে ডলাস বিমান ভাড়া ১৮০০ থেকে১৮৫০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্ক বিমান ভাড়া ১৪০০ থেকে ১০০০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে শিকাগো বিমান ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৬৫০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে বোস্টোন বিমান ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সিসকো বিমান ভাড়া১৮০০ থেকে ২০০০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে হিউস্টন বিমান ভাড়া ১৭০০ থেকে ১৯০০ ডলার।
  • বাংলাদেশ থেকে লস এঞ্জেলেস বিমান ভাড়া ১৬০০ থেকে ১৯০০ ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিবরণ ও যোগ্যতা কী?

F-1 ভিসা: এটি হল সবথেকে প্রচলিত ছাত্র ভিসা। আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অনুমোদিত বিদ্যালয়ে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইত্যাদিতে প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করতে চান বা অনুমোদিত ইংরাজি ভাষা-শিক্ষা প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার F-1 ভিসা প্রয়োজন হবে। যদি আপনার শিক্ষা, সপ্তাহে ১৮ ঘণ্টার অধিক সময়ের হয় তাহলেও আপনার F-1 ভিসা প্রয়োজন হবে।

See also  পাছে লোকে কিছু বলে-গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর-এমসিকিউ-Mcq

M-1 ভিসা: আপনি যদি কোনো ইউএস প্রতিষ্ঠানে অ-চিরাচরিত বা পেশাগত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করেন তাহলে আপনার M-1 ভিসা প্রয়োজন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলসমূহ

যুক্তরাষ্ট্রের আইন পাবলিক এলিমেন্টারি স্কুলে (কিন্ডারগার্ডেন থেকে ৮ম শ্রেণী অবধি) বা সরকারি তহবিলে চালিত প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা প্রোগ্রামে যোগদানের অনুমতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেয় না । এরফলে এই জাতীয় স্কুলগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের জন্য F-1 ভিসা প্রদান করা সম্ভব নয়।

পাবলিক সেকেন্ডারি স্কুলে (৯ম শ্রেণী থেকে ১২তম শ্রেণী অবধি) যোগদানের ক্ষেত্রে F-1 ভিসা প্রদান করা সম্ভব। তবে এই ছাত্র সর্বাধিক ১২ মাস পর্যন্ত স্কুলে থাকতে পারবে। এছাড়াও স্কুলকে I-20 ফর্মে এটি উল্লেখ করতে হবে যে ছাত্রটি শিক্ষার খরচ বিনা ভর্তুকিতে প্রদান করেছে এবং এই অর্থ সেই ছাত্রের শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যেই প্রদান করা হয়েছে। F-1 ভিসার আইনী প্রয়োজনীয়তাগুলোর বিষয়ে আরো অধিক তথ্যের জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ওয়েবসাইট দেখুন

দ্রষ্টব্যঃ A, E, F-2, G, H-4, J-2, L-2, M-2 বা অন্যান্য অন-অভিবাসী ভিসা যা নির্ভরশীল পরিবারপরিজনরা ধারণ করে আছে তারা পাবলিক এলিমেন্টারি এবং সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। যে সমস্ত ছাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান তাদেরকে educationusa.state.gov দেখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী

আপনি যদি F অথবা M ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিতগুলি জমা করতে হবেঃ

বৈধ পাসপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করার জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট যার বৈধতার মেয়াদ অন্ততপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আপনার পরিকল্পিত ভ্রমণের সময়ের পর ছয় মাস স্থায়ী হবে (যদি না দেশ ভিত্তিক চুক্তির দ্বারা ছাড়া পেয়ে থাকেন) । যদি আপনার পাসপোর্টে একাধিক ব্যক্তি অন্তর্ভূক্ত থাকেন তাহলে যারা ভিসা চাইছেন তাদের প্রত্যেককে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং তাদের নিজস্ব পাসপোর্ট থাকতে হবে।

ছবি: গত ছয় মাসের মধ্যে তোলা ২”x২”(৫সেমিx৫সেমি) একটি (১) ছবি । কি ধরণের ছবি দরকার সেবিষয়ে তথ্য এই ওয়েবপেজে আছে।

অফেরতযোগ্য ফি: আপনার অন-অভিবাসি ভিসা প্রক্রিয়ার অফেরতযোগ্য ফি এর সমপরিমাণ যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রদান করা হয়েছে তার একটি রশিদ। যদি ভিসা প্রদান করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জাতীয়তার উপর নির্ভর করে একটি অতিরিক্ত ভিসা ইস্যুয়েন্স রেসিপ্রোসিটি মূল্য প্রদান করতে হতে পারে। আপনাকে ভিসা ইস্যুয়েন্স রেসিপ্রোসিটি মূল্য প্রদান করতে হবে কিনা এবং এই মূল্যের পরিমাণ কত সেবিষয়ে জানতে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটসের ওয়েবপেজটি আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

অনুমোদিত ফর্ম: আপনার যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যালয় বা প্রোগ্রামের থেকে নেয়া একটি অনুমোদিত ফর্ম I-20

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে

ধাপ-১: ননইমিগ্রেন্ট ভিসা ইলেক্ট্রনিক আবেদনপত্র (DS-160) ফর্মটি পূর্ণ করুন

ধাপ-২: ভিসা আবেদনপত্র প্রক্রিয়ার ফি প্রদান করুন।

ধাপ-৩: এই ওয়েবপেজে আপনার সাক্ষাৎকারের দিনটি নির্ধারিত করুন। আপনার সাক্ষাৎকারের দিনটি নির্ধারিত করতে আপনার নিম্নলিখিত তথ্যগুলি প্রয়োজন হবে

  • আপনার পাসপোর্ট নম্বর
  • ভিসা ফি’র রশিদ: আপনার ভিসা ফি’র রশিদ থেকে প্রাপ্ত নম্বর (যদি এই নম্বরটিকে সনাক্ত করতে আপনার সাহায্য প্রয়োজন হয় তাহলে এখানে ক্লিক করুন)।
  • বারকোড নম্বর: DS-160 কনফারমেশান পেজে উল্লেখিত দশ(১০) সংখ্যার বারকোড নম্বর।

ধাপ ৪: আপনার ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ ও সময়ে ইউ.এস দূতাবাস বা কনস্যুলেটে দেখা করুন । আপনাকে অবশ্যই আপনার সাক্ষাৎকারের চিঠির একটি প্রিন্ট করা কপি, আপনার DS-160-এর কনফারমেশান পেজ, গত ছয় মাসের মধ্যে তোলা একটি ছবি এবং বর্তমান এবং সমস্ত পুরানো পাসপোর্ট সাথে আনতে হবে । এই সমস্ত সামগ্রী ছাড়া আবেদন গৃহীত হবে না।

See also  Will be able to-এর অর্থ-করতে পারব

নির্ভরশীল পরিবার-পরিজন

স্বামি/স্ত্রী এবং/বা ২১ অনূর্ধ অবিবাহিত সন্তান, যারা মূল ভিসা ধারকের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ বসবাস কালে তার সাথে থাকতে চায় তাদের F বা M ভিসার অধীনে পরিবারপরিজনদের জন্য প্রযোজ্য নির্ভরশীল ভিসা প্রয়োজন। F বা M ভিসা ধারকদের পিতা-মাতার জন্য এ ধরণের কোনো পারিবারিক নির্ভরশীল ভিসা নেই। সেই সমস্ত পরিবারের সদস্য যারা মূল ভিসা ধারকের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে চান না, কিন্তু ছুটিতে দেখা করতে আসতে চান তারা পর্যটক (B-2) ভিসার জন্য আবেদনের যোগ্যতা পেতে পারেন। স্বামি/স্ত্রী এবং নির্ভরশীলরা F বা M ভিসার পারিবারিক নির্ভরশীল ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারবেন না । যদি আপনার স্বামি/স্ত্রী/সন্তান কাজ পেতে চান তাহলে আপনার স্বামি/স্ত্রীকে যথাযথ কর্ম ভিসা নিতে হবে।

পারিবারিক নির্ভরশীলদের জন্য সহায়ক কাগজপত্র

পারিবারিক নির্ভরশীল সমেত আবেদনকারীদের নিম্নলিখিতগুলিও প্রদান করতে হবেঃ

  • স্বামি/স্ত্রী এবং/বা সন্তানের সাথে ছাত্রের সম্পর্কের প্রমাণ (যেমন বিবাহ এবং জন্মের সনদপত্র)
  • এটি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে পরিবারের সদস্যরা তাদের ভিসা একসাথে আবেদন করেন, তবে যদি স্বামি/স্ত্রী এবং/বা সন্তানদের পরবর্তী সময়ে পৃথকভাবে আবেদন করতে হয় তাহলে তাদের ছাত্র ভিসা ধারকের পাসপোর্ট ও ভিসার কপি এবং অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে।

অধ্যয়ন বিরতির পর ছাত্র ভিসার বৈধতা

যে সমস্ত ছাত্ররা ক্লাস থেকে ৫ মাসের অধিক সময় অনুপস্থিত থাকবে তাদের বিদেশে যাত্রা করে ফিরে আসার পর পুনরায় বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য একটি নতুন F-1 বা M-1 ছাত্র ভিসার জন্য আবেদন করতে হতে পারে যা নীচে বর্ণনা করা হল

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শিক্ষার্থীরা

অন-অভিবাসী আইন অনুসারে বিদ্যালয় বা প্রোগ্রাম বদলির তারিখ থেকে ৫ মাসের মধ্যে যদি কোনো ছাত্র (F-1 বা M-1) তার শিক্ষা পুনরায় শুরু না ক’রে তাহলে সে তার স্ট্যাটাস হারাতে পারে। যদি কোনো ছাত্র স্ট্যাটাস হারায় তাহলে যতক্ষণ না USCIS তার স্ট্যাটাস ফিরিয়ে দিচ্ছে ততক্ষণ ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার জন্য সেই ছাত্রের F বা M ভিসাও অবৈধ বলে গণ্য হবে। আরো অধিক তথ্যের জন্য USCIS ওয়েবসাইট এবং এপ্লিকেশান ফর এক্সটেন্ড/চেঞ্জ অফ ননইমিগ্রেন্ট স্ট্যাটাস ফর্ম I-539 দেখুন।

যেসব শিক্ষার্থীরা বিদেশ ভ্রমণের পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছেন

যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষায় পাঁচ মাস বা তার অধিক সময়ের জন্য বিরতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান, তারা তাদের F-1 বা M-1 স্ট্যাটাস হারাতে পারেন যদি না বিদেশে তাদের ক্রিয়াকলাপ তাদের শিক্ষার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত না হয়। তাদের ক্রিয়াকলাপ তাদের শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেবিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা তাদের নির্ধারিতি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যখন কোনো ফিরতি ছাত্র যে ৫ মাসের অধিক সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছিলেন এবং ছাত্র স্ট্যাটাস ছাড়া ছিলেন, তারা যখন কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রোটেকশান (CBP) অভিবাসী পরীক্ষককে প্রবেশ বন্দরে বৈধ F-1 বা M-1 ভিসা প্রদান করবেন তখন CBP অভিবাসী পরীক্ষক বৈধ অন-অভিবাসী ভিসা না থাকার কারণে তাদের প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচনা করতে পারেন। CBP সেই ছাত্রকে প্রবেশাধিকার পাওয়ার আবেদন তুলে নেওয়ার অনুমতি প্রদান করে ভিসা বাতিলও করে দিতে পারেন। এই কারণে, এটি অপরিহার্য যে ৫ মাস বা তার বেশি সময়ের অনুপস্থিতির পর তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার আগে এই সকল ছাত্ররা ইউএস দূতাবাস বা কনস্যুলেটে একটি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেন।

 

আরো পড়ুন:

Facebook
Twitter
LinkedIn

Related Posts

Related Posts

Welcome Back!

Login to your account below

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

x

Add New Playlist

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?